উঠেই পরীক্ষা করছেন, “ফ্লাইট টেস্ট অ্যাল্টিচুড ১১, রেকর্ড” অপরপ্রান্ত থেকে উত্তর আসলো ফ্লাইট টেস্ট অ্যাল্টিচুড এন এইচ। সিকরস্কি পুরস্কার হতে পারে নাগালের বাইরে কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা বলেছিল, এটা আসলে কোনো সমস্যা না, এটা আসলে চ্যালেঞ্জ।
কি শিরোনামটা একটু অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই তো!! না! অদ্ভূত হলেও সত্য! ঠিক এমনই হয়েছে! ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার এই অসম্ভব কে সম্ভব করার কাজ করে যাচ্ছিল! যারা আসলে এক একজন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই পিএইচ ডি র ছাত্র। তরুণ এই ইঞ্জিনিয়ারের দলকে ঠিক পাঁচ বছরের ও বেশি সময় ধরে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি করতে হয়েছিল। আর পাঁচ বছর ধরেই এন পি আর এর একজন এই পুরো প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তাত্ত্বিকভাবে আসলে এটা একদমই মৌলিক কাজ, বলছিলেন ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক শিক্ষার্থী।
আর উল্টোদিকে এই হেলিকপ্টার প্যাডেলের অনুশীলন করে যাওয়া আসলে মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। তারা এই শেষ চার বছর কাটিয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র একটা সরাসরি মানবশক্তি দিয়ে চালিত প্যাডেল হেলিকপ্টার বানানোর জন্য। আর কিছুদিন আগে তারা এই হেলিকপ্টার উড্ডয়নের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা চালিয়েছে, যদিও এসব ঠিক করে নিতে তাদের বহুবার অমানসিক পরিশ্রম করে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার হয়েছিল। আর এই ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা আমেরিকান হেলিকপ্টার সোসাইটির ২,৫০,০০০ ডলার এর সিকরস্কি বাজেটের পিছুই নিয়েছিল বুঝি!
প্রায় তিন যুগ হয়ে গিয়েছিল, কেউ ওই বাজেট নিজেদের করে নিতে পারেনি। আসলে পারবে কিভাবে সেরকম উল্লেখযোগ্য, পুরস্কার প্রদানের যোগ্য এমন কোন কাজ দেখাতে তো হবে আগে। আর এই বাজেট পেতে হলে তাদের তৈরী করতে হবে হিউম্যান পাওয়ারড ফ্লাইং মেশিন। যা পুরো এক মিনিট ধরে আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় একই জায়গায় অবস্থান করতে পারবে এবং কমপক্ষে তিন মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম হবে। তবে তা অবশ্যই দশ মিটার কোনো গ্যারেজের বাইরে গিয়ে নয়।