নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়ার সময় খুব একটা পান না, কিংবা যেটুকু যত্ন নিয়ে থাকেন তা হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় কম পড়ে যাচ্ছে। আর এই যত্নের ঘাটতি দিয়েই ঢুকে পড়ছে রোজকার নানা সমস্যা। কেবল চুলের আগা ফেটে ফেটে যাওয়া বা চুল পড়ে যাওয়াই কিন্তু একমাত্র সমস্যা নয়, বরং এই যত্নের অভাবেই ঘন ঘন খুশকির হাত থেকে পরিত্রাণ মেলে না অনেকের।
সাধারণত, যে সব কারণের জন্য খুশকি হয়, তার মধ্যে অন্যতম মাথার শুকনো ত্বক । একটা সময় ধারণা ছিল, শীত কাল মানেই শুকনো হতে থাকবে মাথার ত্বক। তার জন্য জরুরি কিছু পরিচর্যাও নিয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু আজকাল এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা আর শীত কালে আটকে নেই। বরং সারা বছরই আমাদের কিছু ভুলত্রুটির কারণেই মাথার ত্বক শুষ্ক হয়।
কোন কোন ভুল থেকে এমনটা হতে পারে জানেন? এ সব ভুল যত এড়াতে পারবেন, ততই দূরে থাকবে এই সমস্যা এবং খুশকিও হবে না।
খুব বেশি ক্ষণ রোদে থাকলে, বাইরে ধোঁয়া, দূষণ, ধুলো থেকে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়।
আজকাল অনেকেই চুলে রং করেন, বাজারচলতি বেশির ভাগ চুলের রঙেই অ্যামোনিয়া থাকে। অ্যামোনিয়াযুক্ত রং চুলে ব্যবহার করলে মাথা শুষ্ক হয়।
খুব ঠান্ডায় রুমহিটার চালিয়ে বেশি ক্ষণ থাকলেও মাথার তালু শুকিয়ে যায়।
এই সব ভুল এড়িয়ে ও চুলের পরিচর্যায় আরও কিছু যত্ন যোগ করুন। তা হলেই এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা এড়িয়ে খুশকি দূর করা সম্ভব হবে।
কোমল শ্যাম্পু: চুল যেমনই হোক, কোমল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন সারা বছর। ক্ষার কম থাকলে তা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে না। তাই কোমল শ্যাম্পুতে চুল যেমন পরিষ্কার হয়, তেমন মাথার ত্বকেও আর্দ্রতা বজায় থাকে।
কন্ডিশনার: শ্যাম্পু ভাল করে ধোয়ার পর কন্ডিশনার দিতেই হবে। এটাই চুলের স্বাস্থ্যরক্ষার প্রাথমিক পাঠ। কন্ডিশনার কেবল মাখলেই হবে না, খেয়াল রাখতে হবে তা যেন খুব ভাল ভাবে ধোয়া হয়। নইলে মাথার ত্বকে কন্ডিশনার থেকে গেলে তা থেকে খুশকি জন্ম নেবে।
তেল: প্রতি দিন রাতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে আঙুলের ডগায় করে মাসাজ করুন চুলে। এর পর চুল বেঁধে শুয়ে পড়ুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এটা করলেই উপকার মিলবে অনেকটা। খুশকিও কমবে উল্লেখযোগ্য ভাবে।