ডায়াবেটিস, হাঁপানি ও কিডনি- ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগকে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি বলা হয়ে থাকে। ইনসুলিননির্ভরশীল ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই রোগে কিডনিতে প্রাথমিক বিপর্যয় শুরু হয় ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এ সময় কোনো উপসর্গই থাকে না। ১০-১৫ বছরের মধ্যে প্রস্রাবে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তখন তাকে বলা হয় নেফ্রোটিক সিনড্রোম। এ সময় রোগীর শরীরে পানি আসা শুরু হয় আর ১৫-২০ বছরের মধ্যে কিডনির কার্যক্রম হ্রাস পেতে থাকে। তখন তাকে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি ফেইলিউর বলা হয়।উপসর্গ প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির কোনো উপসর্গ থাকে না। উপসর্গ যখন দেখা যায়, ততদিনে কিডনির অনেকটা ক্ষতি হয়ে যায়। প্রধান উপসর্গগুলো হচ্ছে পায়ে পানি আসা এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া। এসব রোগীকে পরীক্ষা করলে চোখ এবং স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত ডায়াবেটিস হওয়ার ৫ থেকে ১৫ বছর পর এ ধরনের জটিলতা দেখা যায়। এ পর্যায়ে চিকিৎসায় খুব ভালো ফল লাভ করা সম্ভব। যেসব পরীক্ষা প্রয়োজন প্রতিটি ডায়াবেটিস রোগীর সকালের প্রস্রাব পরীক্ষা করে প্রস্রাবে অ্যালবুমিন এবং সুগার আছে কি- না তা দেখা উচিত।
২৪ ঘণ্টার প্রস্রাব পরীক্ষা করে কী পরিমাণ অ্যালবুমিন যাচ্ছে, তা নির্ণয় করা হয়। ২৪ ঘণ্টার অ্যালবুমিন ৩০০ মিলিগ্রামের ওপরে গেলেই ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি ভাবা হয়। ৩০০ মিলিগ্রামের নিচে এবং ৩০ মিলিগ্রামের ওপরে অ্যালবুমিন গেলেও ধরতে পারা যায়, যাকে মাইক্রো- অ্যালবুমিনিউরিয়া বলা হয়।
এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ান্তে প্রতিটি রোগীর রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও ইলেস্ট্রোলাইট পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্রস্রাবে যদি ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি অ্যালবুমিন যায় এবং সেই সঙ্গে রক্তে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে একে কিডনি অকেজো হওয়ার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে ধরা হয়। কিডনির সনোগ্রাম এবং প্রয়োজনে কিডনির বায়োপসি পরীক্ষা করা যেতে পারে।