গাঁদা ফুল পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। চকচকে উজ্জ্বল কমলা, হলুদ ও খয়েরি রঙের এই ফুলের প্রেমে পড়েননি এমনটা হতেই পারে না। সুন্দর এই ফুলের মাধ্যমে আপনিও কিন্তু সুন্দরী হয়ে উঠতে পারেন। সৌন্দর্য্য চর্চায় গাঁদা ফুলের কার্যকারিতা অনেক। অত্যন্ত ওষধি গুণসম্পন্ন একটি উপাদান যাতে কিনা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানে ভরপুর। যা ত্বকের সাধারণ কাটা ছেড়া জনিত ইনফেকশন, ব্রণ, ফুসকুড়ি ও অন্যান্য যেকোন ত্বকের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে। গাঁদা ফুলের তিনটি ফেস মাস্ক জেনে নিন-
শুষ্ক ত্বকের জন্য: প্রথমে গাঁদা ফুলের পাঁপড়িগুলো ভালোভাবে থিঁতিয়ে নিন। এবার এই ফুলের পাপড়িরমধ্যে মধু, মিল্ক ক্রিম আর বেসন মিশিয়ে নিন। এবার আপনার চোখ ও ঠোঁটের অংশ বাদে মিশ্রণটি লাগান এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভেজা কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে এই মাস্ক তুলে ফেলুন। মধু ও মিল্ক ক্রিম প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা আপনার ত্বকতে নরম ও কোমল করবে। বেসন আপনার ত্বকের ডিপ ক্লিন করবে। সেইসঙ্গে গাঁদা ফুলের পাঁপড়ি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
মিশ্র ত্বকের জন্য: গাঁদা ফুলের পাঁপড়িগুলো মিহি করে বেঁটে একটি বাটিতে নিন। এবার দই আর চন্দন পাউডার এই ফুলের পাপড়ির সঙ্গে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না ক্রিমি আকার ধারণ করছে। এবার এই ক্রিমি পেস্ট মাস্ক আমারে আপনার ত্বকের চোখ আর ঠোঁটের অংশ বাদ দিয়ে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুঁয়ে ফেলুন। দই ত্বকের তামাটে ভাব দূর করে ও ত্বক ডিপ ক্লিন করে। চন্দন ত্বকের পোরসগুলো টাইট করে ও ত্বক পরিষ্কার করে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: আমলা পাউডার আর ফুলের পাঁপড়ি বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে এতে লেবুর রস দিন। এরপর পেস্ট ক্রিমি করতে দই দিয়ে দিন আর সব উপাদান আরেক দফা ভালোভাবে মেশান। এবার এই পেস্ট আপনার ত্বকের চোখ আর ঠোঁটের অংশ বাদে সারা মুখে মাস্কের মতো লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে আপনার মুখ ভালোভাবে ধুঁয়ে ফেলুন। গাঁদা ফুলের নির্যাস আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে। লেবু আপনার তৈলাক্ত ত্বকের ব্ল্যাক হেডস আর ফুসকুড়ি কমিয়ে দেবে। আমলা তৈলাক্ত ত্বকের পোরসগুলো শক্ত করে ত্বকের সুস্থতা নিশ্চিত করবে।
একবার ত্বকে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যেকোন একটি মাস্ক ব্যবহার করেই দেখুন। প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে ত্বকের যত্ন করলে আর যাই হোক ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।