মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। বাড়ছে আতঙ্ক। রোগটি ডেঙ্গুর মতোই মানবদেহ থেকে মশা এবং মশা থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে থাকে।
সাধারণত ভাইরাস রোগে আক্রান্ত রোগী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জ্বর সেরে গেলেও রোগী দীর্ঘদিন দুর্বল বোধ করেন।
চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রচণ্ড জ্বর, মাথা, শরীর, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে, মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হয়।এছাড়া একটু পরপরই তৃষ্ণা পাবার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা।এ রোগে আক্রান্ত কাউকে কামড়ানোর পর কোনো মশা অন্য কাউকে কামড়ালে ওই ব্যক্তির মধ্যেও সংক্রমণ হয়।তবে চিকুনগুনিয়া জ্বরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে না বা ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে না।চিকুনগুনিয়া জ্বরে ডেঙ্গুর মতো মৃত্যুঝুঁকিও থাকে না কারণ এতে শরীরের প্লাটিলেট মাত্রাতিরিক্ত কমে না এবং রক্তক্ষরণের ঝুঁকিও থাকে না।
তবে চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে ঘরেই সঠিক চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
তাহলে জেনে নিন চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য তুলসী পাতার রস খুবই কার্যকরী।এ রস সেবন করলে এ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার শংকাও কম থাকে।এছাড়া তুলসী পাতা বড়ি বা পাউডার করেও খেতে পারেন।
চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রধান ওষুধ হলো সম্পূর্ণ বিশ্রাম।এছাড়া প্রচুর পরিমাণ পানি পান, ফলের জুস ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে।
এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের ঘন্টায় ১ বার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। এতে রোগী কিছুটা আরাম পাবে।