কিছুদিন ধরেই চীনের অর্থনৈতিক গতি মন্থর হয়ে পড়েছে বলে আলোচনা হচ্ছে। আগে দেশটিতে ১০ শতাংশের ওপর মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার থাকত। গেল পাঁচ বছর ধরে ৬ থেকে ৭ শতাংশে আটকে আছে। তবে অর্থনৈতিক দৃষ্টিতে চীনের এই শ্লথ প্রবৃদ্ধি কোনো মন্দার পূর্বাভাস নয় বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
এমনটাই বলছেন জেফরি টওসন তাঁর দ্য ওয়ান আওয়ার চায়না কনজ্যুমার বুক-এ। ছোট ছোট বিশ্লেষণে তিনি বুঝিয়েছেন চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমলেও তা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য খুব বেশি শঙ্কার নয়।
বর্তমানে চীনের ভোগ ব্যয় কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লেও তা ভবিষ্যৎ অর্থনীতির মূল চাহিদাকেই নির্দেশ করছে। ২০২০ সাল নাগাদ প্রায় ৪০ কোটি নতুন ভোক্তার চাহিদা তৈরি হবে দেশটিতে, যাকে মূলধারার ভোক্তা বা মধ্যবিত্ত শ্রেণি বলা যেতে পারে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর বার্ষিক আয় ১৬ হাজার ডলার থেকে ৩৪ হাজার ডলারের মধ্যে থাকবে। এদের চাহিদা বিশ্ব অর্থনীতিতে একটা বড় ঝাঁকুনি দেবে বলেই মনে করেন জেফরি টওসন। তিনি মনে করেন, চীনের এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান নতুন ‘কনজ্যুমার ফোর্স’ তৈরি করছে।