ছোট থেকে বড়- কার নেই একটি নেশা? মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেশায় এখন সবাই যেন পাগলপ্রায়।
তবে সম্প্রতি এক জরিপে জানা গেছে, বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের এ নেশা বেশি। গবেষকরা বলছেন প্রতি দুইজন তরুণের মধ্যে একজন এ নেশায় আক্রান্ত।
তরুণরা অনেকেই সারাক্ষণ অনলাইনে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করে। আর এটি এক পর্যায়ে অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা কোনো ছবি বন্ধুবান্ধবরা ‘লাইক` করল কিনা, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করা; এত যে ‘ফলোয়ার` আছে, তারা হয়ত কোনো নতুন ছবি আপলোড হওয়ার জন্য অপেক্ষা ইত্যাদি ক্রমে নেশায় রূপ নেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেশার সঙ্গে অন্যান্য নেশার অনেক মিল আছে। দুই বিষয়কেই বিহেভিওরাল অ্যাডিকশন বা আচরণগত আসক্তি বলা হয়। কিন্তু অন্যান্য নেশা ছাড়া যতটা সহজ, অনলাইনের অভ্যেস ছাড়া তার চাইতে অনেক বেশি শক্ত।
কেননা মিডিয়া তো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এ থেকে বের হয়ে গেলেও আপনি নানাভাবে নিজেকে আবার এর ভেতরে আবিষ্কার করবেন।
সম্প্রতি সামাজিক স্মার্টফোনের এ নেশা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টকে। তিনি বলেন, স্মার্টফোনের নির্মাতাদেরই এর নেশা থেকে পরিত্রাণের জন্য উপায় রাখা উচিত ছিল। কিন্তু তা করা নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের নেশার মধ্যে বাস করছেন, তারা বেশ কিছু ঝুঁকিতে পড়েছেন। আর এ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যার প্রবণতার মতো মারাত্মক বিষয়ও।
এ নেশা থেকে তরুণদের বাঁচাতে কয়েকটি উপায়ের আছে। এগুলো হলো-
(১) প্রতিদিন কম সময় ফোন ব্যবহারের জন্য প্রণোদনা দিন।
(২) মোবাইল ফোন দৃষ্টির বাইরে রাখলে তার প্রভাবও কম পড়ে। তাই ফোনটি লুকিয়ে রাখুন।
(৩) মেসেঞ্জারে অন্যরা যেন অযথা বিরক্ত না করে সেজন্য বিরক্ত করবেন না লিখে রাখুন।
(৪) দিনের একটি সময়কে ‘স্ক্রিন বিহীন সময়’ হিসেবে নির্ধারণ করুন। এ সময় কোনোভাবেই স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না।