কী ভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে থাইরয়েড বাসা বাঁধছে? এর প্রাথমিক অবস্থায় কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়, তা দেখে সহজেই চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে পারবেন। এবার সে লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক-
ওজনে পরিবর্তন
হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়া ওজন বেড়ে
যাওয়াটা হাইপোথাইরয়েডিসমের ফলে হতে পারে। খাওয়ার পরিমাণ না বাড়ানো
সত্ত্বেও হঠাৎ করে ওজন পরিবর্তিত হলে থাইরয়েড হরমোনের পরীক্ষা করানো উচিত।
একই ভাবে যাদের হঠাৎ করেই ওজন কমে যায়, তাদেরও হাইপারথাইরয়েডিসম থাকার
আশঙ্কা রয়েছে।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
সারাক্ষণ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
হাইপারথাইরয়েডিসম-এর লক্ষণ হতে পারে। শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি
থাইরয়েড হরমোন তৈরি হলে সারাক্ষণ অস্থির ভাব এবং বিশ্রামহীন বোধ হতে পারে।
এই সমস্যা দেখা দিলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন
হাইপারথাইরয়েডিসম সম্পর্কে।
চুলের সমস্যা
হাইপোথাইরয়েডিসম হলে অতিরিক্ত চুল
পড়া, চুলের বৃদ্ধি কমে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাইপো
থাইরয়েডিসম হল শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় কম থাইরয়েড হরমোন তৈরি হওয়া।
তাই চুলে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অবসন্নতা
নিয়মিত শরীর অবসন্ন লাগার একটি অন্যতম
কারণ হতে পারে হাইপোথাইরয়েডিসম। সারা রাত পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও যদি সকালে
অবসন্ন লাগে অথবা সারাদিন ধরে ঝিমুনি আসে তাহলে থাইরয়েড হরমোন ঠিক মতো
কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
ত্বকের উপর প্রভাব
হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে ত্বক
অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এর কারণে ঘাম কম হয় এবং ত্বক প্রয়োজনীয়
আদ্রর্তা পায় না। এর ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়।
হাইপোথাইরয়েডিসমের রোগীদের মধ্যে নখ ভাঙ্গার বা নখে ফাটল ধরার প্রবণতাও
থাকে।
গলার স্ফীতি
থাইরয়েড হরমোনের অভাবে অর্থাৎ
হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে গলা ফুলে উঠতে পারে। গলায় হাত দিয়ে কোন
অস্বাভাবিক ফোলা ভাব মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া
থাইরয়েড হরমোনের অভাবে গলার স্বর কিছুটা কর্কশ বা গম্ভির হয়ে যেতে পারে।
থাইরয়েড রোগের এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। কেননা এ থেকেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বড় কোন রোগ।