গত মাসে নির্বাচনে জয় লাভের পর তুরস্কের প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশের সর্বময় ক্ষমতাধর হিসেবে আগামী শপথ নেবেন রিসেপ তায়েদ এরদোয়ান। এজন্য সংবিধানে পরিবর্তন এনে বুধবার একটি নতুন ডিক্রি জারি করা হয়েছে।
২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালের ২৪ জুন প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনে ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এরদোয়ান।
২০১৭ সালের এপ্রিলে এক গণভোটে জয়ের পর দেশটির সংবিধানে পরিবর্তন এনে প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করে একচ্ছত্র রাষ্ট্রপতির শাসন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এর ফলে ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদে মন্ত্রী নিয়োগেও থাকবে তার একক ক্ষমতা।
বুধবার সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট শাসিত ব্যবস্থার ডিক্রি জারি করেছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে দেশটির প্রথম ‘নির্বাহী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ৯ জুলাই শপথ গ্রহণ করবেন এরদোয়ান। তার দুই দিন আগে শনিবার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নাম ঘোষণা করবেন তিনি।
তবে বিরোধীরা অভিযোগ করে বলেছেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বৈরাচারী হয়ে উঠবেন এরদোয়ান। আরো এক দশক ক্ষমতায় থাকার পথ পোক্ত করবেন তিনি।
বুধবার জারি করা সরকারি বিবৃতিতে ১৯২৪ সালের আইনে পরিবর্তন এনে ‘প্রধানমন্ত্রী’, ‘মন্ত্রিসভা’র সব রেফারেন্স বিলুপ্ত করে সব ক্ষেত্রে ‘প্রেসিডেন্ট’ এবং ‘প্রেসিডেন্টের কার্যালয়’র রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৩ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের রক্ষণশীল ইসলামি দলের শাসনাধীনে রয়েছে দেশটি।
১৯২৩ সালে আধুনিক তুরস্কের যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের যেসব পরিবর্তন এসেছে তার বেশিরভাগই এনেছেন তিনি। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।