অনাকাংঙ্খিত স্পশ’ কাতর দুটো ঘটনা মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ব করে তুলেছিলো ।
প্রথম ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তৎকালানী আফ্রিকার েপ্রসিডেন্ট ‘ বোথা’ সরকার আর
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটিয়েছে ২০১৪ সালে রিপাবলিকান অব ইরান ।
বিদ্রোহী ও
বিপ্লবী কবিতা লেখার দায়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে কবি বেণ্ঝামিন মোলায়েস (
Benjamin Moloise) কে ১৯৮২ সালে আটক করে এবং ১৮ অক্টোবর ১৯৮৫ সালে ফাঁসির
কাষ্টে ঝুলিয়েছে স্বৈরচার বোথা সরকার। Benjamin Moloise 1955 সালে
জন্মগ্রহন করেন। সে একটি ফ্যাক্টরীতে সাধারন
ওয়কার হিসেবে কাজ করত। তাঁর অনেক বিদ্রাহী ও বিপ্লবী কবিতার মধ্যে peace
বা শান্তি নিয়ে লেখা কবিতার প্রথম লাইন ছিল “ শান্তি তুমি কোথায় , তোমাকে
খোঁজি ল্যাটিন আফ্রিকা – আমেরিকায় । তুমি কত দুর । ভিষণ প্রয়োজন তোমাকে
আফ্রিকায় এ সময়ে !!!
যাক বেন্জামিনের ফাঁসির রায় ঘোষনা এবং ফাঁসির
কাষ্টে ঝুলানোর আগে তাঁর মা দেখা করেছিল, বেন্জামিনের চোখে হাত রেখে মা
বলেছিল Don’t cry on my son. The world 🌎 Human people crying 😢
for you.Don’t cry. সে সময়ে বিশ্বের মানবাধিকার সব সংগঠন গুলো আপ্রাণ
চেষ্টা ও অনুরোধ করে কিছুই করতে পারেনি । শেষে গভীর রাতে তাঁকে ফাঁসি দিলো
বোথা সরকার । এ ঘটনা তখন বেশ আলোচিত ও সমালোচিত ছিল ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটিয়েছেন রিপাবলিকান ইরান।
২২ অক্টোবর ২০১৪, ভোরে ফাঁ’সি হয়ে যায় রেহানে জা’বারির। বয়স হয়েছিল ২৬
বছর। ধ’র্ষণ এড়াতে আত’তায়ীর বুকে ছু’রি বসানোর অ’পরাধে তাকে প্রা’ণদ’ণ্ড
দেয় ই’রানের সু’প্রিম কো’র্ট। রে’হানের ফাঁ’সির আদেশের বি’রোধিতা করে গোটা
বি’শ্বের অজস্র মা’নবাধিকার সং’গঠন। প্রা’ণভি’ক্ষার আরজি জানান দুনিয়ার
তাবৎ জ’ননেতা। এমনকি, মেয়ের বদলে তাকেই ফাঁ’সিকা’ষ্ঠে ঝু’লানো হোক বলে
মিনতি করেন রেহা’নের মা শোলেহ।
ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর রেহান জা’বারির মা
যখন দেখা করতে গেলেন বেশী সময় হয়ে ওঠেনি মেয়ের সাথে কথা বলার । তবে লিখিত
একটি চিটি মাকে দিয়েছিল যার সার সংক্ষেপ ছিল মা, তুমিই তো শিখিয়েছ
অ’ভিজ্ঞতা লাভ ও শিক্ষা পাওয়ার জন্যই আমাদের জন্ম। তুমি বলেছিলে, প্রত্যেক
জন্মে আমাদের কাঁধে এক বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া থাকে। মাঝে মাঝে ল’ড়াই করতে
হয়, সে শিক্ষা তো তোমার থেকেই পেয়েছি। সেই গল্পটা মনে পড়ছে, চা’বুকের
ঝা’প্টা স’হ্য করতে করতে একবার প্র’তিবাদ জানানোর ফলে আরও নি’র্মমতার
শি’কার হয়েছিল এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তার মৃ’ত্যু হয়। কিন্তু প্র’তিবাদ
তো সে করেছিল! আমি শিখেছি, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে অ’ধ্যবসায় প্রয়োজন।
তার জন্য যদি মৃ’ত্যুও আসে, তাকেই মেনে নিতে।
অবশেষে কোনো কিছুতেই কান
দেয় নি ইরান স’রকার। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই নিঃভিয়ে দেওয়া হয় ছাব্বিশের
তরতাজা প্রা’ণ রেহানেকে। মৃ’ত্যুর আগে মাকে শেষ চিঠি লিখে গিয়েছেন
রে’হানে। হৃ’দয় নিং’ড়ানো সেই চিঠিতে মাকে শো’কগ্রস্ত হতে বার বার বারণ
করেছেন তিনি। মৃ’ত্যুকে তিনি অভিহিত করেছেন নিয়তির বিধান হিসেবে, তবে সে
জন্য তিলমাত্র অ’নুতাপ করেননি।