মালদ্বীপে আগামী ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সোমবার দেশটির সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
জরুরি অবস্থা জারি করায় যে কোনো সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করার অতিরিক্ত ক্ষমতা পেল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
এর আগে রোববার দেশটির পার্লামেন্টের অধিবেশন বাতিল করে সরকার। এছাড়া প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনকে অভিশংসন করতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো নির্দেশ দিলে তা প্রতিহত করার জন্য সেনাবাহিনীকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদসহ ৯ রাজনৈতিক বন্দীকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেয়। এসব রাজনৈতিক বন্দীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে রায়ে জানায় আদালত। এ ছাড়া বহিষ্কার করা ১২ জন এমপিকে স্বপদে ফিরিয়ে আনার আদেশ দেয় আদালত।
এ ১২ জন এমপির ওপর থেকে বহিষ্কারাদেশ ফিরিয়ে নেয়া হলে ৮৫ সদস্যের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে মালদ্বীপের বিরোধী দল। এর ফলে দুর্নীতি ও অপশাসনের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনা বিরোধী দলের পক্ষে সহজ হয়ে যাবে।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও সরকার রাজবন্দীদের মুক্তি দেয়নি। তাই সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনকে অভিশংসনের মুখে দাঁড় করাতে পারে বলে রোববার দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট কোনো রুল জারি করলে সেনাবাহিনী ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেন তা মান্য না করে সে নির্দেশনাও দিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।