যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অনীহা দেখানোয় মিয়ানমারের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেদের দেশের নাগরিকদের ফেরত নিতে বলা হলেও তা বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি অথবা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে দেরি করায় মিয়ানমার ও লাওসের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মিয়ানমার ও লাওসে মার্কিন কনস্যুলার অফিসারদের সুনির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসার আবেদনের ওপর কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে মিয়ানমার ও লাওসের কাছ থেকে যথাযথ সাড়া না পেলে এই নিষেধাজ্ঞার আওতা আরো বাড়ানো হতে পারে।
এরই মধ্যে ৯ জুলাই (সোমবার) থেকে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া রেঙ্গুনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বি-১ ও বি-২ ক্যাটাগরির সব ননইমিগ্রান্ট ভিসা দেয়া বন্ধ করেছে। এ তালিকায় আছে মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও পপুলেশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক পর্যায় এবং এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত। তিনি আগেই বলেছিলেন, যেসব দেশের তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানাবে তাদের সাজা দেয়া হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর তিনি এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। তাতে পররাষ্ট্র ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আবেদন করা ভিসা স্থগিত করার কথা বলা হয়েছে।