উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির হ্যাটট্রিকে পিএসভিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। এদিন গোলর দেখা পেয়েছেন উসমান দেম্বেলেও।
পুরো ম্যাচে বার্সেলোনার পায়ে বল ছিল ৭৫ শতাংশ সময়। মেসি-সুয়ারেজরা গোলমুখে শট নিয়েছেন ২১টি। এর মধ্যে ৯টি শটই ছিল লক্ষ্যে। বুঝতেই পারছেন খেলা কতটা একপেশে হয়েছে।
ন্যু ক্যাম্পে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও বার্সেলোনা শেষতক ৪-০ গোলের ব্যবধানে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু করেছে। আর বার্সেলোনার গোল মেশিন মেসি করেছেন হ্যাটট্রিক।
বার্সেলোনা গোলের সুযোগ পেয়েছে ম্যাচের শুরুতেই। ডেম্বেলের ভুলে সুযোগ হাতছাড়া করে স্বাগতিকেরা। এরপর পিএসভির রক্ষণে তেড়েফুঁড়ে একের পর এক আক্রমণ করলেও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা।
৩০তম মিনিটে সেই ডেম্বেলেই ফ্রি কিক আদায় করেন। ডি বক্সের বাইরে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি কিক নেন মেসি। দেয়ালের ওপর দিয়ে তাঁর সেই চেনা পরিচিত বাঁকানো শট। গোলপোস্টের কোনা দিয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ায়। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর আগে শিষ্যদের কানে কী মন্ত্র পড়ে দিয়েছেন ভালভার্দে সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে একে একে ৩ গোল করে স্কোরলাইন ৪-০তে নিয়ে যায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি করেন আরও ২ গোল। ৭৭ মিনিটে রাকিটিচের দুর্দান্ত পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি।
হ্যাটট্রিক করতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি আর্জেন্টাইন এই জাদুকরকে। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার খানিক আগে (৮৭ মিনিট) মেসিকে ফাঁকায় পাস দেন সুয়ারেজ। বলের গায়ে সঠিক ঠিকানা সেঁটে দিতে একটুও ভুল করেননি মেসি।
এর মাঝে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে প্রথম এবং ৮১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় স্যামুয়েল উমতিতিকে। এর আগে ৭৪ মিনিটে কুতিনহোর পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করে দ্বিতীয়ার্ধে গোলমুখ খোলা শুরু করেন ডেম্বেলে।
পুরো ৩ পয়েন্ট আর গোল সংখ্যায় এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে স্প্যানিশ জায়ান্টরাই। আরেক ম্যাচে টটেনহামকে ২-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে আছে ইন্টার মিলান।