যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-উন।
রোববার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বহনকারী বিমান সিঙ্গাপুরের পায়া লেবার বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটিতে পৌঁছান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।
মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে দুই নেতার ঐতিহাসিক বৈঠকের কথা রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং উনজি সেভেন সম্মেলনে যোগদান শেষে কানাডা থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছালে ট্রাম্পকে স্বাগত জানান সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
বহুল প্রতীক্ষিত ট্রাম্প-কিম বৈঠকের আগে আলাদাভাবে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং জানিয়েছেন, ট্রাম্প-কিম বৈঠক আয়োজনের জন্য তার দেশ দুই কোটি ডলার খরচ করছে। এ বৈঠক আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সিঙ্গাপুরের ভাবমূর্তি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কেননা এর মধ্য দিয়ে দুনিয়াজুড়ে সিঙ্গাপুরের ব্যাপক প্রচার হচ্ছে। ট্রাম্প ও কিমের বৈঠককে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লী সেইন লুং এসব কথা বলেন।
আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরের সান্টোস দ্বীপে ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হবেন কিম ও ট্রাম্প। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এবং সুবিধাজনক স্থান বিবেচনায় বৈঠকের স্থান হিসেবে সিঙ্গাপুরকে বেছে নেয়া হয়েছে। পৃথিবীর অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে সিঙ্গাপুরে একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস রয়েছে।
ট্রাম্প ও কিমের বৈঠককে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে লি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ভালো কাজ কেবল আলাদা আলাদা নয়, বরং একত্রিত হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেও কাজ করছে তারা।
মঙ্গলবার ট্রাম্প-কিমের বৈঠকের খবর সংগ্রহে প্রায় তিন হাজার সাংবাদিক সিঙ্গাপুরে উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।