ধুমধাম করে বিয়ে করার স্বপ্ন সবারই থাকে। সে স্বপ্নটা ছিল ভারতের ইস্পাত সম্রাট লক্ষী মিত্তালের মেয়েরও। বাবাও অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন সেটা। বিয়েতে খরচ করে ৫০০কোটি ভারতীয় রুপি।
২০০৪ সালে মিত্তালের একমাত্র মেয়ে বানিশার বিয়ে হয় প্যারিসে। ঐতিহাসিক ভার্সেই প্রাসাদকে মিত্তাল পরিণত করেছিলেন এক রাজকীয় বিয়ে বাড়িতে! ২৩ বছর বয়সী রাজকন্যার বিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাংকার অমিত ভাটিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পোশাক বানিয়েছিলেন দুনিয়ার সেরা ডিজাইনাররা। লুভর মিউজিয়ামের উল্টোদিকে বসেছিল সংগীত-এর আসর। জাভেদ আখতার লিখেছিলেন নাটক। যাতে অভিনয় করেছিল গোটা মিত্তাল পরিবার।
ঐতিহাসিক ভ্য লো ভক্নতে এস্টেটে বসেছিল বিয়ের আসর। ভারত থেকে শিল্পীরা গিয়ে বানিয়েছিলেন উদ্যানের সরোবরে নকল পদ্ম। সেই প্রস্ফুটিত পদ্মে বসে বিয়ে করেছিলেন বানিশা-অমিত। মণ্ডপ সাজাতে হল্যান্ড থেকে গিয়েছিলেন ফ্লোরিস্টরা। অতিথিদের রাজকীয় ভাবে রাখার জন্য খরচ হয়েছিল কয়েক কোটি রুপি। বিয়ের রাতের মূল আকর্ষণ ছিল ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নাচ।
তবে বিয়ের মেনু ছিল সম্পূর্ণ নিরামিষ। কলকাতা থেকে শেফ মুন্না মহারাজ গিয়ে রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে‚ ভার্সেই প্রাসাদকে চতুর্দশ লুইয়ের রাজত্বকালের থেকে কোনো অংশে কম করেননি লক্ষ্মী মিত্তাল। কিন্তু ২০০৪ সালে হওয়া বিশ্বের এই মহার্ঘ্যতম স্বপ্নসম বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হলো না। এক দশক পূর্ণ হওয়ার আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা আদালতে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে আলাদা হয়ে যান বানিশা-অমিত।