Monday, December 23, 2024
Home > আন্তর্জাতিক > ধর্ষণে বাধা দেয়ায় মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

ধর্ষণে বাধা দেয়ায় মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে এক ধর্ষক বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ওই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে। 

পুলিশ জানায়, ২৬ জুলাই গলা কেটে হত্যা করা হয় বছর উনিশের এক তরুণীকে। ১৫ অগস্ট, রাখির দিন এই হত্যার কথা জানাজানি হয়। তার পরেই বাবার বিরুদ্ধে ছোট বোনকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন বড় মেয়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই বাবাকে। 

লিখিত অভিযোগে খুন হওয়া তরুণীর বড় বোন জানান, বোনকে বিগত দু-বছর ধরে একাধিকার বাবা ধর্ষণ করেছে। ২৬ জুলাইও বোনকে বাবা ধর্ষণ করতে গিয়েছিল। বাধা দেওয়াতেই নৃশংস ভাবে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। 

এফআইআর দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ তাকে ধরতে সক্ষম হয়। 

সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সুনীল গুপ্তা জানান, অভিযুক্ত জেরায় মেয়েকে নিজে হাতে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। সে-ও এও জানিয়েছে, দু-বছর ধরে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। 

তাকে জেরা করেই উরওয়া থেকে উনিশ বছর বয়সী ওই তরুণীর কাটা মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটি মাটি নীচে চাপা দেওয়া ছিল। দেহটি বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে নুল্লাহর নির্জন এলাকার একটি ঝোপ থেকে।

অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ১৫ বছর আগে তার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। বড় মেয়ের বিয়ে দেয় ২০১৫ সালে। তার পর থেকে ছোট মেয়েকে নিয়েই সে থাকত। 

রক্ষাবন্ধনে ছোট বোন তার শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ায়, বড় বোনের সন্দেহ হয়। কারণ, বিয়ের পর থেকে প্রতিবার রক্ষাবন্ধনে তার কাছে এসেছে। তাই বাবাকে ফোন করে বোনের কথা জিজ্ঞেস করে। 

বাবা বড় মেয়েকে জানায়, সে ছোটকে গলা কেটে খুন করেছে। এর পরই বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বড় মেয়ে। 

ধৃতকে এদিন আদালতে পেশ করা হলে, আদালত জেল হেফাজতে পাঠায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *