পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা ইদানিং অনেকের দেখা যায়। এতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটতে হয়। পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা হলে কি করবেন আজ সে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথার কথা অনেকের মুখেই শোনা যায়। বিশেষ করে যাদের চল্লিশোর্ধ বয়স তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটছে। এর মূল কারণ হলো ওজন বৃদ্ধি পাওয়া। ওজন বেশি হওয়ার কারণে বায়ের গোড়ালি শরীরের ভর সহ্য করতে পারে না। আর তাই পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা অনুভব হয়। যে কারণে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটা লাগে।
কিভাবে এই গোড়ালিতে ব্যাথা সারাবেন সে বিষয়ে আজ আলোচনা করা হবে। চিকিৎসকরা প্রথমেই বলে থাকেন ওজন কমাতে। ওজন কমালে আপনা-আপনি ব্যাথা সেরে যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা কিছু পেইন কিলার দিয়ে থাকেন। সেটি যাদের ব্যাথার পরিমাণ বেশি তাদের জন্য।
যাদের বয়স চল্লিশোর্ধ তাদের ক্ষেত্রে ওজন কমানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও থেকে যাবে। তাই ওজন অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পায়ের গোড়ালির ব্যাথা নিয়ন্ত্রণ করতে জেনে নিন কিছু কার্যকরী টিপস। এতে গোড়ালি ব্যাথা প্রতিহত হবে আবার ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য ঝুঁকিও থাকবে না।
# প্রথমেই গোড়ারির ব্যাথার জন্য আপনাকে সব সময় নরম জুতা ব্যবহার করতে হবে। চামড়ার জুতা হোক আর রাবারের স্যান্ডেলই হোক খুব নরমটা ব্যবহার করতে হবে। যাতে গোড়ালিতে কম ব্যাথা অনূভব হয়।
# যত কম পারা যায় হাটাহাটি কম করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া হাটাহাটি না করায় ভালো।
# বিশেষ করে শক্ত কোনো স্থানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে না খাকার চেষ্টা করুন।
# ভারী কোনো জিনিস তুলবেন না। যেমন: বেশি ওজনের বাজারের ব্যাগ, পানিভর্তি বালতি এই জাতীয় জিনিস বহন না করায় ভালো।
# সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাতে সাপোর্ট দিয়ে ধীরে ধীরে উঠতে হবে। আবার চলাচলের সময় যথাসম্ভব গোড়ালির ব্যবহার কম করবেন।
# ব্যথা বেশি থাকা অবস্থায় কোনো রকম ব্যায়াম না করায় ভালো।
# মহিলাদের ক্ষেত্রে হাই হিল জুতা ব্যবহার করা একেবারে নিষেধ।
# শরীরের ওজন কমাতে সকাল ও রাতে রুটি খেতে হবে। এবং যেসব খাবারে বেশি ক্যালরি রয়েছে আপাতত সেগুলো বর্জন করতে হবে।
উপরোক্ত নিয়ম মেনে চললে এমনিতেই গোড়ালির ব্যাথা সেরে যাবে। তবে যদি দেখেন ব্যাথা দীর্ঘস্থায়ি হচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে মনে রাখবেন ওষুধ খাওয়ার থেকে যদি নিয়ম মেনে গোড়ালির ব্যাথা সারানোর যায় সেটিই শরীরের জন্য উত্তম হবে।
এই নিয়মগুলো যে কেও মেনে চলতে পারেন। তাতে সুস্থ্য-সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন।