Monday, December 23, 2024
Home > ফিচার > শীতকালের রোগ ব্যাধি ও পরিচর্যা

শীতকালের রোগ ব্যাধি ও পরিচর্যা

শীতকালে সাধারণত রোগ ব্যাধি কম হয়। কিন্তু তারপরও আবহাওয়ার বিপর্যয়, পরিবেশ দূষণের কারণে শীতকালেও অনেক রোগ ব্যাধি দেখা দেয়।

অনেক সময় শীতকালে নাক, কান, গলায় বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন সর্দি, কাশি, অ্যালার্জি, টনসিলে প্রদাহ, গলা ব্যথা ইত্যাদি। ইহা ছাড়া অ্যাজমা, শিশুদের নিউমোনিয়া এবং বিভিন্ন রকম চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে।
সর্দি: শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডার ফলে সর্দির সৃষ্টি হয়। অনেক সময় সর্দি লাগলে কানে ব্যথা করে এবং নাক দিয়ে রক্তও পড়তে পারে। যার ফলে অনেক সমস্যার যেমন সাইনুসাইটিস হতে হয়।
কাশি: শীতকালে ঠাণ্ডায় কাশির প্রকোপ বেড়ে যায়। যার ফলে বুকে ও গলায় ব্যথা দেখা দেয়। অতিরিক্ত কাশির ফলে ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। অনেক সময় কাশির সঙ্গে কফ বা রক্তও বের হতে পারে।

এলার্জি: এলার্জি প্রতিটি মানুষেরদেহে কম-বেশি বিদ্যমান। অতিরিক্ত ঠান্ডার ফলে মানুষের নাক কান ও গলায় এলার্জি প্রকোপ দেখা দেয়। যার ফলে হাঁচি, কাশি বেশি হয়। এলার্জির জন্য চোখে কনজাঙ্কটিভাইটিস হতে পারে।

টনসিল: শীতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগার কারণে গলার ভেতরের টনসিলে ইনফেকশন হতে পারে। টনসিলে ইনফেকশনের কারণে গলায় ব্যথা ও জ্বর হতে পারে। টনসিলাইটিসের জন্য শিশুদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটে এবং বড়দের অফিস ও দৈনন্দিন কাজে বিগ্ন সৃষ্টি হয়।

গলা ব্যথা: শীতকালে অতিরিক্তি ঠাণ্ডার ফলে বিভিন্ন কারণে গলায় ব্যথা হয়ে থাকে। যেমন- হঠাৎ করে ঠাণ্ডা পানি পান করলে, শীতে গরম কাপড় না পড়লে, গলায় ব্যথা হতে পারে। এছাড়া টনসিলের কারণেও গলায় ব্যথা হতে পারে।

শীতে নাক কান গলার রোগ প্রতিকার:

(১) শীতকালে সাবধানে থাকতে হবে। যাতে সর্দি, কাশি ও ভাইরাসজনিত জ্বর না হয়।

(২) ঠান্ডা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। যেমন: ঠান্ডা পানীয়,আইসক্রীম ইত্যাদি।

(৩) বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে বেশি নজর দিতে হবে।

(৪) প্রয়োজনীয় গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। এরপরও শীতকালে সর্দি, কাশি হওয়ার পরও গুরুত্ব দেয়া হয় না বা অবহেলা করা হয়।

তাই যখন নাক, কান, গলায় সমস্যা দেখা দিবে তখনই একজন নিকটস্থ ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *