চুলে কালার না করলেও অনেকের চুল লাল হয়ে যায় কিংবা বাদামী রঙ ধারন করে। এটা কেন হয়? এখন অনেকেই চুলে কালার করে লাল বা বাদামী করে থাকেন। আবার অনেকেই এখনো কালো চুল পছন্দ করেন। চুল লাল বা বাদামী হলে কী করবেন? সে সম্পর্কে জেনে নিন-
চুল কালো করার জন্য প্রথমেই একটা ডিমের সাদা অংশ নিতে হবে। এর সঙ্গে এক কাপ টকদই, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিতে হবে। এগুলো একসঙ্গে মেশাতে হবে। এটা হলো একটা প্রোটিন প্যাক। এটা মাথার ত্বকে ও চুলে ভালো করে লাগাতে হবে। এভাবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শুকাতে দিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু করে নিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এটা সপ্তাহে একবারও ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফল পাবেন।
অনেকেই চুল খোলা রেখে বাইরে যান। খোলা চুলে রোদে বের হলে চুল লালচে হয়ে যাবে। কারণ চুলের কোলাজেন টিস্যু সূর্য রশ্মি নষ্ট করে দেয়। যার জন্য চুল কালচে ভাব থেকে লালচে হয়ে যায়। মোট কথা, কালো চুল থাকে না। তাই রোদ থেকে চুলকে বাঁচাতে হবে। চুল খোলা রেখে বাইরে বের হওয়া যাবে না। রোদে বের হলে চুল ঢেকে বের হতে হবে। আর ঢেকে বের হতে কোন সমস্যা হলে ছাতা নিয়ে বের হতে পারেন। যাতে চুল রোদের তাপ থেকে রক্ষা পায়। তবে চুলের কালচে ভাব বজায় থাকবে।
আজকাল অনেকেই চুল কার্লি করে আবার অনেকে চুল স্ট্রেট করে। খুব তাড়া থাকার কারণে অনেকে হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নেন। এজন্য চুল অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। চুল শুকানোর তাড়া থাকলে বাতাসে বসে শুকাতে পারেন বা অনেক আগে গোসল করতে পারেন। কোনো ড্রায়ার ব্যবহার করা না করাই ভালো। মাথার চুল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তাই সপ্তাহে দু’দিন নিয়ম করে শ্যাম্পু করতে হবে। খুব ভালো ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু বা ভালো ব্র্যান্ডের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
খাবার তালিকায় ভিটামিন সি, ফল ও শাক সবজি রাখতে হবে। কারণ খনিজ ও ভিটামিন এ দুটোর অভাবেই চুল লালচে হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, চুলের নিচের অংশ ফেটে যায়। চুলে ক্যামিকাল কোনো কিছু ব্যবহার না করাই ভালো। এক্ষেত্রে প্রকৃতিক জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। আমলকি ও মেথি বেটে মাথায় ভালো করে লাগিয়ে ৪০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এতে চুল অনেক ভালো থাকবে। শ্যাম্পূ করলে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন তবে আর চুল লালচে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। খাবার তালিকায় অবশ্যই দুধ ও ডিম রাখতে হবে। যতটা সম্ভব চুলে কালার না করাই ভালো। অতিরিক্ত কালার করলে চুলের নিজস্ব রঙ আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই চুলে কালার না করে হেনা করতে পারেন। এটা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।