দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়, এই ভ্রান্ত ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তবে দুধের চাহিদায় ভাটা পড়েনি এতোটুকুও। কারণ দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকায় দুধকে সুষম খাদ্য বলা হয়ে থাকে। তবে আজকাল বিভিন্ন ডায়েটে বলা হচ্ছে, দুধ বাদ দিয়েও অন্যান্য খাবারের মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া সম্ভব। আরও একটি কারণে দুধকে খাদ্য তালিকা থেকে অনেকে বাদ দিতে চাইছেন, কারণ এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। দুধ মূলত একটি মিষ্টি খাবার, যাতে প্রচুর ক্যালোরির পাশাপাশি বেশ খানিকটা ফ্যাটও থাকে। আপনি কি ওজন কমানোর ডায়েট করছেন? তাহলে আপনার কি দুধ খাওয়া উচিত?
ওজন কমাতে জন্য দুধ ভালো না খারাপ:
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের তথ্য অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম দুধের মধ্যে থাকে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ ফ্যাট, ৬১ ক্যালোরি এবং ১০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত দুধের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। আপনি যদি লো ক্যালরি ডায়েটের মধ্যে থাকেন, তা হলে আপনার ফ্লেভার্ড বা প্রক্রিয়াজাত দুধ না খাওয়াই ভালো। তবে আপনি যদি দুধপ্রেমী হন, তা হলে আপনার ওজন কমানোর ডায়েটে দুধ রাখতেই পারেন। তবে কতটা পরিমাণ দুধ খাচ্ছেন সেটা কিন্তু ভেবে দেখতে হবে। কিছু সমীক্ষা দেখিয়েছে, জিম করার পরে চকোলেট দুধ পেশির পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
২০০৪ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যারা কম ক্যালোরির ডায়েট অনুসরণ করছেন, তাদের দিনে তিনবার দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া প্রয়োজন। দিনে তিনবার দুগ্ধজাত খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমানোও সম্ভব হয়। পরিমান মতো দুধ খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজন কমলে টাইপ টু ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগের সম্ভাবনা অনেক কমে। যদি আপনার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স না থাকে তা হলে ওজন কমানোর ডায়েটে আপনি দুধ রাখতেই পারেন। এতে আপনার ওজনও কমবে। তবে আপনি যদি ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনের রোগী হন তা হলে ঠিক কোন ধরনের দুধ আপনার জন্য আদর্শ সেটা একবার ডায়েটিশিয়ান বা নিউট্রিশনিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনে নিন।