Monday, December 23, 2024
Home > বিনোদন > সিদ্বান্ত বদলে বাধ্য হয়েছেন আলোচিত অভিনেএী সানাই

সিদ্বান্ত বদলে বাধ্য হয়েছেন আলোচিত অভিনেএী সানাই

বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত মডেল-অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। তাকে ঘিরে মানুষের জানার আগ্রহের কমতি নেই। গত শনিবার হুট করে সানাই জানান, সাবেক একজন মন্ত্রীর সঙ্গে তার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। নিজেকে রক্ষা করার জন্যই তাকে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এমন কী হয়েছিল, যে হুট করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সানাই?তিনি বলেন, ‘চারটা মাস ঘুমাই না। কিছু লোকের মানসিক অত্যাচার, হুমকিতে বাসা ছেড়ে হোটেলে থেকেছি। তারপরও রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত আমাকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মাধ্যমেও ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছে। অবশেষে নিজেকে রক্ষা করতে সব স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছি। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে একজনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে তার নাম বলব না। তিনি বর্তমান সরকারের সাবেক একজন মন্ত্রী। আগে বিয়ে করেছিলেন। সে ঘরের সন্তানও আছে। তারা বিদেশে পড়ছে। যখন সময় আসবে নাম জানাব।’
সানাই বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে ছিল না; কিন্তু কিছু দিন ধরে নানা কারণে মা আমাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তা করছেন। আমি মাকে আর বেশি চিন্তার মধ্যে রাখতে চাইনি। তাই আমার প্রেমিককে আম্মুর উদ্বেগের কথা জানাই। সে তখন বলল, চলো আমরা আপাতত এনগেজমেন্ট সেরে নিই, এরপর সুবিধাজনক সময়ে বিয়ে করে ফেলব। এভাবেই আংটিবদলের কাজটা সেরে নিয়েছি।’সানাই জানান, তার গুলশানের বাসায় আংটিবদলের পর্ব সম্পন্ন হয়। সেখানে সানাইয়ের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।কদিন আগে এক সাক্ষাৎকারের বলেছিলেন, আপনি শিল্পপতি কিংবা বিজনেস টাইকুন বিয়ে করবেন। এখন মন্ত্রীকে বিয়ে করার কথা বলছেন। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন কেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতির কারণে সিদ্ধান্ত বদলেছি। তা ছাড়া জন্ম-মৃত্যু-বিয়েতে মানুষের হাতে নেই। আমার ক্ষেত্রে এটা দুর্ঘটনা, এটা ভাগ্য।কিছুদিন আগে আপনাকে পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে ডাকা হয়। অনেকেই বলছেন, ওই বিষয়টাকে আড়াল করতেই আপনি এমনটা বলছেন? সানাই বলেন, মোটেই না। কেউ তাঁর জীবনের একটা বিষয়কে আড়াল করতে এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে? এখানে দুটি পরিবার জড়িত। সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে আমাকে ডাকা হয়েছিল ভিন্ন কারণে। আমি কিছু ভিডিও বানিয়েছিলাম, তা সবাই দেখছিল। আসলে তা সবার জন্য না। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তারা এগুলো দেখতে পারবে না। ভুলটা বুঝতে পেরেছি। সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। এ ঘটনার পর বাসা থেকে মা বিয়ের জন্য চাপ দেন। মায়ের মনে ভয় ঢুকে গেছে। কান্নাকাটি করছিলেন। ওই জায়গা থেকে আমি বাগদান করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *