ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ফাতাহ পার্টির সদস্য অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ শতায়েহ। রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেন, ফাতাহ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নতুন এই প্রধানমন্ত্রীকে মাহমুদ আব্বাস স্বাগত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। খবর- রয়টার্স ও আল-জাজিরা।
নব নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ দেশটির সাবেক সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েলের সঙ্গে থমকে যাওয়া আলোচনা শুরু নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনি আলোচক দলের সদস্য ছিলেন।
এদিকে নিজের অনুগত শতায়েহ’কে নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সমালোচনা করেছে রাজনৈতিক দল হামাস। তারা জানিয়েছে, এতে ফিলিস্তিনের ঐক্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা হিসেবে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহর স্থলে ফাতাহ পার্টির ৬১ বছর বয়সী সদস্য শতায়েহকে নিয়োগ দিলেন মাহমুদ আব্বাস।
পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী রামি আল-হামদাল্লাহ বর্তমান নিয়োগের ছয় সপ্তাহ আগে পদত্যাগ করেছিলেন। এতে ক্ষমতার ভাগাভাগির ক্ষেত্রে হামাস ও ফাতাহের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থতার বিষয়টিই সামনে চলে এসেছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর ফিলিস্তিনি টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে শতায়েহ বলেন, ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের (পিএলও) বিভিন্ন উপ-দলের সঙ্গে তিনি দ্রুতই পরামর্শে বসবেন। আব্বাসের নেতৃত্বাধীন পিএলও নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগদানের ব্যাপারে ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার শাসন করে আসা হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইসমাইল রুদওয়ান বলেন, একটি বিচ্ছিন্ন সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনি বিভাজন দীর্ঘায়িত হওয়ার ছাড়া কিছু হবে না।
এছাড়া এক বিবৃতিতে হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহাম বলেছেন, হামাস জোর দিয়ে বলছে, তারা এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারকে স্বীকৃতি দেয় না। কারণ জাতীয় ঐক্যমত ছাড়াই এই সরকার গঠন করা হয়েছে।