ছাগলনাইয়ায় ঈদের নামাজ পড়তে না পারা ও আজিজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক বহিষ্কার কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকার মানুষ। আতঙ্কও বাড়ছে। ফলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা গ্রুপের এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল লোকজন মুখোমুখি অবস্থান করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গেছে, সমাবেশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা পৌর মেয়র ছাড়াও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নূর আহাম্মদ মজুমদারকেও প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সোহেল চৌধুরীর বিএনপির সভাপতির অনুদানে নির্মিত মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ তার ছেলে ও পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দুই গ্রুপের লোকজন একে অপরের ওপর ক্ষুব্ধ ও হামলা করার কৌশল খুঁজছে।
এদিকে ছাগলনাইয়ার এ ঘটনায় শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি ফেনী জেলাধীন ছাগলনাইয়ায় প্রকাশ্য জনসভায়উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর আহম্মদ মজুমদার ও তার বড় ছেলে মো. নুরুল আফসার মজুমদার টিটুকে গুম করাসহ তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশে উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের হুমকিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি ছাগলনাইয়ায় থানায় নুর আহাম্মদ মজুমদারের জিডি গ্রহণ না করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।